,

নবীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান মুকুলের বরখাস্তের আদেশ বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের (অব্যাহতি প্রাপ্ত) সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলের বরখাস্তের আদেশ বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন ও মামলার আপীল সূত্রে প্রকাশ, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার কর্তৃক বরখাস্ত হয়েছিলেন চেয়ারম্যান মুকুল। গত ৭ জুলাই ইমদাদুর রহমান মুকুলকে বরখাস্তের গেজেট প্রকাশ করেস্থানীয় সরকার বিভাগ। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ৩৯৩৭নং পিটিশন দাখিল করেন ইমদাদুর রহমান মুকুল। ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এম.খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এম. মাহমুদ হাসান তালুকদারের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি শেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত করে চেয়ারম্যানকে স্বপদে বহালের আদেশ দেন। মুকুলের পক্ষে রিটের শুনানী করেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক আইন মন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু। এরই প্রেক্ষিতে ১০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত গেজেটে স্বপদে বহাল হন ইমদাদুর রহমান মুকুল। স্বপদে বহালহয়ে জমকালো আনুষ্ঠানিকতা ও মিষ্টি বিতরণ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এদিকে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট আপীল বিভাগে দায়েরকৃত ১৪৪১নং মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল করেন এবং বরখাস্তের আদেশ বহাল করেন। গত ৮ অক্টোবর আদেশে স্বাক্ষর করেন বিজ্ঞ বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে ২৩ নভেম্বর সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চেয়ারম্যান মুকুলকে বরখাস্তের আদেশ পুনরায় কার্যকর করার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে এই প্রজ্ঞাপন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। আপীল ডিভিশনে মামলা পরিচালনায় নিয়োজিত সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি শেখ শফিক মাহমুদ পুষ্প বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরখাস্ত হওয়া ৫৩ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ২৯ জন স্বপদে বহাল হন। এটর্নী জেনারেল অফিসের ব্যর্থতায় প্রশ্নবিদ্ধ হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা। এরই প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় নিয়োজিত আইনজীবী হিসেবে সরব হই। আপীলবিভাগে পিটিশন দাখিল করি। উল্লেখ্য, বিগত চার বছর ধরে নামে বে নামে কয়েক শতাধিক খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর (১০টাকা) কেজির চাল প্রাপ্ত সুবিধাভোগীরআত্মসাতের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। পরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ও উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন হয়। দীর্ঘ তদন্ত ও বিস্তর নাটকীয়তা শেষে তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরেপাঠানো হয়। চাল চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগথেকে গত ৭ জুলাই ইমদাদুর রহমান মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর